চারুশিল্পের বাজার ও এর ঢাকাই হালচাল

শুরুতেই বলে রাখি, আমি বিগত ২০/২২ বছরের ব্যক্তিগত শিল্পচর্চায় বাজারের বাইরের শিল্পচর্চা বা বিকল্প পন্থার শিল্পচর্চায় যুক্ত রেখেছি নিজেকে। কিন্তু বাজার মুখী চর্চার গতিপ্রকৃতির খেয়াল না রাখলে তো বিকল্প পরিসরকে বুঝা হয়না ঠিকঠাক, তাই সব সময় বাজার ট্রেক করেছি, এবং এর গতিবিধির খবর রেখেছি ও রাখি। এই লেখায় মূলত দেশের আর্ট-মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি ও এতে আমাদের করিনীয় নিয়ে কিছু পর্যালোচনার সুত্রপাত করতে চাই। এতে অনেক ভিন্নমত ও বিকল্প ভাবনা থাকবে, যারা এই লেখা পড়বেন তারা এর উপর মতামত রাখবেন, যা এই লেখাকে, এই আলাপ কে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে এই কামনা করি।

বাংলাদেশের চারুশিল্পের বাজার ও এর সমসাময়ীক পরিস্থিতিতে করিনীয় কি? এই প্রসঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করছে, ঢাকা কেন্দ্রিক দেশের আর্ট মার্কেটে শিল্পী ও গ্যলারীর অবস্থাটা আদতে কি? এই পর্যবেক্ষণ কি আমাদের আছে? স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী পার হয়ে আসা এই আর্ট-সিনের মার্কেট বলতে যা বুঝায় তা শক্তপোক্ত কাঠামো নিয়ে গড়ে উঠেনি এখনো। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় উদাসিনতা, এবং নীতি নির্ধারনী জায়গায় শিল্পকে ঠিক ভাবে বিবেচনা না করার কারনে দেশের জনসাধারণের টেক্সের টাকায় গড়ে উঠা এই শিল্প ইন্ডাস্ট্রির কোন সুফল রাস্ট্র বা জনগনের ভাগ্যে ফলে না দৃশ্যমান ভাবে। ইদানিং এই প্রোডাকশন চলে যায় ব্যক্তিগত পুঁজির বিপরীতে সস্তায় বেশী লাভের আশায় বিনিয়োগ কারীদের ভোগ হিসেবে। আর্টিস্ট কমিউনিটির একটা অতি ছোট অংশ এই পুজিপতিদের খাদ্যে রূপান্তরিত হয়ে আত্মস্লাঘায় ভোগেন আর বেশীরভাগ অংশ পথ খোঁজেন কি করে সেই রাস্তায় উঠে যাওয়া যায়, একবার পথ পেয়ে গেলে কেল্লা ফতে।

দেশের বর্তমান আর্ট মার্কেট পরিস্থিতি বুঝতে হলে আদতে আর্ট্মার্কেট বিষয়টা কি তা বুঝা জরুরী, আলোচ্য আর্ট-মার্কেট কাটামো তৈরি করে যেই সব মূল উপাদান তাদের গুরুত্বের ক্রমানুসারে লিখলে এভাবে লিখা যায়, শিল্পী, শিল্প সংগ্রাহক, গ্যালারী, আর্ট ডিলার, আর্ট মেলা, পেশাদার শিল্প-উপদেষ্টা।

আর্ট-মার্কেট শব্দটি আদতে একটা পরিবেশ বা ইকো-সিষ্টেমকে বুঝায় যেখানে অনেক শিল্পী নিজ নিজ চিন্তা ও দর্শন থেকে নিজের অরিজিনাল ভাষ্য উপস্থাপন করে এমন শিল্প কর্ম নিয়মিত সৃষ্টি করেন এবং বেচা বিক্রির জন্যে উম্মুক্ত রাখেন। যেখানে অনেক বিচিত্র আগ্রহ-সমৃদ্ধ শিল্পসংগ্রাহক গণ নিয়মিত ভাবে নিজেদের সংগ্রহ পরিচর্যা করেন। নতুন নতুন শিল্পকর্ম সংগ্রহ করেন। গ্যলারী গুলি সক্রিয় থাকে শিল্পীদের নানান মাত্রায় বিচিত্র আঙ্গিকে সংগ্রাহক ও শিল্প ভোক্তাদের সামনে তুলে ধরার কাজে, যোগাযোগ সক্রিয় রাখেন শিল্পী ও সংগ্রাহকের মধ্যে। শিল্পকে ঘিরে চলমান এই আর্থিক কর্মকান্ডের তৃতীয় স্তরে আরো বড় পরিসরে কাজ করে আর্ট ডিলার গণ। তারা বিভিন্ন গ্যালারি ও শিল্প গ্রাহকদের এবং শিল্পের অন্যান্য ভোক্তাদের উল্লেখযোগ্য সংগ্রহের নিলাম /অকশন কিংবা কমিশন করেন, সংগ্রহের হাত বদলের জন্য নানামুখী তৎপরতা পরিচালনা করেন। আর্ট ডিলার, ও গ্যলারী গুলিকে নিজেদের ব্যবসা সুসংহত করতে ও ঝুঁকি এড়াতে আর্ট কিউরেটরদের সহায়তা নিতে হয়, আর্ট কিউরেটর গণ নিয়মিত এবং প্রফেশনাল এপ্রোচে সমসাময়িক শিল্পচর্চার বহুমুখী ট্রেন্ড ও ের চলমান আর্থিক ও রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির খবর রাখেন ও গবেষনা করেন, মার্কেটের চালিকা শক্তির একটি হল কিউরেটর, গ্যলারী ও আর্ট ডিলার গণ কিউরেটরদের উপর ভরসা করেন, বলা হয় বিশ্বের আর্ট মার্কেট চলে 3C ( Curator, Critic, Collector) এর জোগ-সাজসে। এই 3C এর একটি কিউরেটর। ডিলার, গ্যলারী এবং সংগ্রাহকদের পারস্পরিক বোঝাপড়া, ও লেনদেনের গতি সঞ্চারী ও প্রচার প্রসারতার বড় পরিসর হল শিল্প মেলা বা আর্ট-ফেয়ার। যেখানে অনেক বেশী সংখ্যক বিশেষায়ীত আর্ট প্রফেশনাল সংগ্রহক ও সংস্লিষ্ঠ পেশাদারদের সমাগম ঘটানো হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের নানান শিল্প প্রবনতা ও শিল্পপন্যের পসরা সাজিয়ে বসেন মেলায় অংশগ্রহনকারী গ্যালারী ও সংগ্রাহক সকল। এসব মেলা বা আর্টফেয়ার গুলিকে কেন্দ্র করে আর্ট্মার্কেটের বিশেষজ্ঞ গণ পরবর্তী বা ভবিষ্যতের আর্ট প্রবনতা গুলি নির্নয় করেন, এবং সেই অনুসারে তাদের নির্ধারিত গ্যলারী ও সংগ্রাহকদের লাভজনক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

মূলত ব্যাক্তি শিল্পীই আর্টমার্কেটের মূল উপজীব্য বিষয়। ব্যাক্তি শিল্পীর কাজের গুনগত মান, কাজের অন্তর্নিহীত দর্শন ও প্রকার প্রকরন মার্কেটের প্রসার ও পরিধি বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রাখে। শিল্পকর্মে সমসাময়ীক স্থানীয় ও বৈশ্বিক রাজনীতি, সমাজ ও বিশ্ব ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা, উপস্থাপনা, সমালোচনা কিংবা ভাষ্য স্থানীয় আর্ট মার্কেটের সাথে বৈশ্বিক আর্ট-মার্কেট কে যুক্ত করার সুযোগ বৃদ্ধি করে। ব্যাক্তি শিল্পীর উল্লেখযোগ্য মান ও বৈশিষ্ট্যের শিল্পকর্ম সৃষ্টির ধারা নিয়মিত থাকাটা একটা টেকশই আর্ট-মের্কেটের পুর্বশর্ত। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জায়গায় আমাদের আর্ট মার্কেট একাবারেই নাজুক পরিস্থিতিতে আছে। দেশের শিল্প শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গুলি বিশ্বের সমসাময়ীক শিল্পশিক্ষার ট্রেন্ড ফলো করেনা, এখানে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শিল্পশিক্ষা ব্যবস্থার ভুত এখনো চেপে আছে অবিনাশি চরিত্র হিসেবে। চিন্তায় ও কাজে আমরা এখনো স্বাবলীল ও বৈশ্বিক করে তুলতে পারিনি আমাদের শিল্প-শিক্ষালয় গুলিকে। এই কারনে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যারা বের হয়ে আসেন তাদের বেশিরভাগেরই চর্চিত শিল্প কর্ম ও ভাবনা সমসাময়ীক বৈশ্বিক ট্রেন্ডের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনা। তাদের মধ্যে যারা আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের এই সুনির্দিষ্ট ঘাটতি সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং ছাত্রাবস্থায় বেড়িয়ে আসার চেষ্টায় থাকেন তারা প্রফেশনাল জায়গায় কাজে এসে কিছুটা সুবিধা পান, কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই সুযোগ হয় না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ছাত্রাবস্থায় এই বুঝ বুঝে নিতে না পাড়লে আদতে বের হয়ে আসার পর এই ঘাটতি পুরন করে শিল্পকর্ম সৃজনে মনোনিবেশ করা ভীষণ দুরূহ হয়ে পরে। এসব কারনে বেশীরভাগ শিক্ষার্থী আর শিল্পচর্চার ইচ্ছা থাকলেও সৃজন কর্মে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেন না। তবুও যারা চেষ্টা অব্যহত রাখেন তাদের ও সমসাময়িক প্রতিযোগিতা মূলক বৈশ্বিক শিল্প বাজারে প্রবেশ করার মত উপযুক্ত শিল্পকর্ম তৈরি করার জন্যে প্রতিষ্ঠানে ব্যায়ীত সময়ের চাইতে বেশী সময় ও সামর্থ্য ব্যবহার করতে হয়, যা বয়স ও পারিপার্শ্বিক সামাজিক পরিস্থিতির সাথে ভীষণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

স্থানীয় আর্ট-মার্কেট খুবই সীমিত আকারের হওয়াতে নতুন আগত শিল্পীদের এক্সেস পাওয়া খুবই কঠিন, ভালো কাজ করলেও অনেকের কাজ সমাদর পায় না। মার্কেটের গ্যলারী ও সংগ্রাহক শ্রেণী খুবই কম সংখ্যক হওয়াতে সবাই সবাইকে চেনে, জানে। তাই একধরনের পরিচয় ভিত্তিক প্রণোদনার চল আছে। শিল্পী ও শিল্পকর্মের নির্বাচনে গুনগত মান বিচার কেন্দ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপরে পরিচয়ভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়া কার্যকর থাকায় শুধু গুনবিচারের ভিত্তিতে কারো প্রবেশাধিকার তেমন দেখা যায় না এই রিজিট মার্কেটে । এক কথায় বললে, এখানকার শিল্প বাজারের ২য় স্তরে প্রফেশনাল আচরনের বিন্দুমাত্র চর্চাও গড়ে উঠেনি এখনো। তাই নবীন সম্ভাবনাময় শিল্পীর চলমান স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করা ভীষণ দুরূহ একটা ব্যাপার। একারনে নতুন বা নবাগত শিল্পীদের অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্বেও চর্চায় টিকে থাকা হয়ে উঠেনা।

গ্যালারি গুলির নিজেদের সুস্পষ্ট কোন চরিত্র কিংবা ব্যবসা পরিকল্পনাও দৃশ্যমান নয়। নাই সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তাড়া যা এদের বৈশ্বিক শিল্প বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করবে। ভীষণ স্থবির গতির গ্যলারী তাদের আরো ধীরগতির প্রথা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া কিছু কর্মকান্ডের ভিতরদিয়ে বছরব্যপী সক্রিয় থাকেন। নতুন নতুন শিল্প সংগ্রাহক বা শিল্পের স্থানীয় ভোক্তা সৃষ্টি করার বা নিজেদের বৈশ্বিক পরিমন্ডলে যুক্ত করার তেমন তাগাদা দেখা যায় না এসব গ্যলারীর কর্মকান্ডে।

এবার আসি শিল্প সংগ্রাহকদের প্রসঙ্গেঃ, যারা শিল্প সংগ্রহ করেন তাদের ও বেশির ভাগের মধ্যে এই সংগ্রহের পিছনে শিল্পের প্রতি অবুঝ ও নিরঙ্কুশ ভালবাসার বিপরীতে কোন উচ্চকাংখা থাকে না, থাকেনা নিজেদের সংগ্রহের বিপরীতে আর্ট্মার্কেটে তার তুল্যমুল্য বিচার ও সক্রিয় ব্যবসায়ীক তৎপরতার তাগাদা। ফলে তারা কয়েকজন শিল্পীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন ও ক্রমাগত তাদের কাজে এডিক্টেড হয়ে পড়েন। এতে সামগ্রিক ভাবে আর্ট মার্কেটের বিকাশে কোন ভাল প্রভাব পড়ে না। মার্কেট এর প্রফেশনাল আবহাওয়া গড়ে না উঠার পিছনে এটি একটি বড় কারন। ফলে নতুন মুখ, নতুন ভাবনা, ও শিল্পকর্ম অবাধে এই মার্কেটে প্রবেশ করতে পারে না, এই ধারা অব্যহত থাকলে ঢাকাই আর্ট-মার্কেটের স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ খুবই কম।


স্থানীয় আর্ট-মার্কেটের সবচেয়ে বড় অনুঘটক হয়ে উঠতে পাড়ত বিশাল আকৃতির সরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। এর দেশব্যাপী বিশাল অবকাঠামো বিদ্যমান, সরকারী বিপুল লোকবল আছে। আছে সরকারী আর্থিক সহায়তা। এই বিশাল জাতীয় প্রতিষ্টানটির কাজে-কর্মে দেশের স্থানীয় আর্ট মার্কেট সম্প্রসারন কিংবা একে একটি পাকা-পোক্ত কাঠামোয় দাঁড় করানোর সচেতন আগ্রহ দৃশ্যমান নয়। কিন্তু তার পর ও এর কিছু প্রথায় পরিণত হওয়া আনুষ্টান অলখ্যে আর্ট-মার্কেটে প্রভাব রেখে চলছে। এর নিয়মিত নবীন শিল্পীদের প্রদর্শনী, জাতীয় চিত্র প্রদর্শনী, ও দ্বীবার্ষিক এশিয় চারুকলা প্রদর্শনী কোন সচেতন পরিকল্পনা ছাড়াই এখানকার অবকাটামো বিহীন আর্ট্মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এসব প্রদর্শনীর গুনগত মান, কিংবা এতে বৈশ্বিক ট্রেন্ডের ও শিল্পকর্মের উপস্থাপনার কোন ঝোঁক বা প্রচেষ্টা না থাকলে ও এর আদাখেচড়া উপস্থাপনার ফাঁকে ফোকড়ে অনেক নবীন শিল্পীর অগমন ঘটে চলছে, অনেকেই এই উদ্দেশ্যহীন জাতীয় প্রদর্শনী গুলির প্লাটফর্ম থেকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিচিতির সুযোগ পেয়েছেন। যদি এই একই সামর্থের ভিতরে এই সব ইভেন্টকে আর্টমার্কেট বিনির্মানের সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রার আওতায় রি-ডিজাইন করা যেত তবে তার ফল দাড়াতে পাড়ত অনেক বেশী কার্যকর ও লক্ষ্যভেদী। শিল্পকলা একাডেমীর বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোর ১০ ভাগ ও কোন কাজে আসেনা। কারন এর সামনে সেরকম কোন সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তাগাদা নাই। কিন্তু এই সরকারী প্রতিষ্ঠান এখনো সময়োপযোগী উদ্যোগ নিলে এর অবকাঠগামো ও জনবল এবং বিদ্যমান সরকারী সহায়তার সর্বোচ্চ কার্যকরি ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের আর্ট মার্কেটের পুর্ন-নিয়ন্ত্রন ও রাষ্ট্রীয় আর্থিক খাতে বিপুল আর্থিক অবদান রাখার সম্মানে উন্নিত হতে পারে।

এই জাতীয় প্রতিষ্টানের একটি স্থাপনার সামান্য সহযোগীতা ব্যবহার করে সামদানী আর্টফাউন্ডেশন খুবই অল্প পুঁজিতে এদেশের শিল্পকর্মের জন্যে বিশ্ববাজার উন্মুক্ত করার গৌরব অর্জন করে ফেলেছে ইতোমধ্যে। কিন্তু দেশ ব্যাপী বিশাল অবকাঠামো ও জনবল এবং বার্ষিক বাজেটের বিশাল একটা অব্যহত আর্থিক সহায়তা ব্যবহারের বিপরীতে এর কর্মকান্ডের বৈশ্বিক কোন প্রভাব দৃশ্যমান নয় কেন? তা কি এর সাথে জড়িত নিতীনির্ধারনী ব্যক্তিবর্গের এখনো ভাবার সময় হয়নি?

(চলবে—)

Leave a Comment